Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
শিমুলতলী সেতু
বিস্তারিত

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার খেলনা ইউনিয়নে৯ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শিমুলতলীর শাঁখাহাটিতেআত্রাই নদীর উপর নির্মানাধীন 'তকীউদ্দীন পার্সী (রহঃ)  ৪০০.২২৫ মিটারদীর্ঘ  এবং ৬ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থ সেতুটির নির্মান কাজ প্রায় সমাপ্তিরপথে। সংশ্লিস্ট সূত্র  থেকে জানা যায়, আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যেই  সেতুটির নির্মাণকাজ পুরোপুরিভাবে সমাপ্ত হবে। এ সেতুর স্প্যান সংখ্যা ১০টিএবং পিলার রয়েছে ১১টি। গত ২৭ এপ্রিল এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মুক্তিযোদ্ধামো.ওয়াহিদুর রহমান সেতুটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।এ সময় ধামইরহাট-পত্নীতলাআসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ শহীদুজ্জ্জামান সরকার, এলজিইডি’র বেশকয়েকটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ সহ রাজশাহী অঞ্চলের  অতিরিক্তপ্রধান প্রকৌশলী  জনাব মোঃ মতিয়ার রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জনাব মোঃআলী আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আবু মোঃ সাহরিয়ার, উপজেলা নির্বাহীঅফিসার মোছাঃ তাছলিমা খাতুন, উপজেলা প্রকৌশলী জনাব  মোঃ আলী হোসেন ও  বেশকয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। প্রধান প্রকৌশলী সেতু নির্মাণ সংক্রান্তবিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বিস্তারিত ভাবে তাঁকেঅবহিত করেন।  জানা গেছে চলতি বছরেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারেরবর্তমান মাননীয় প্রধামনন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করবেন মর্মে সদয়সম্মতি প্রদান করেছেন।দীর্ঘ এই সেতুটি উদ্বোধনের মাধ্যমে  কৃষি প্রধান অত্রঅঞ্চলের জনগন তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য স্বল্প সময়ে ও কম খরচে উপজেলা সদরসহদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতে সমর্থ হবে।  যুগ যুগ ধরে আজন্ম লালিত এইসেতুটি এলাকার মানুষের কাছে স্বপ্নের সেতু। নদীর উভয় পার্শ্বের সর্বস্তরেরনানা শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ সার্বক্ষণিকভাবে প্রহর গুণছেন সেতুটিরউন্মুক্ত হবার আশায়।  জয়পুরহাট জেলা সদর ও ধামইরহাট উপজেলার সাথে নওগাঁ  জেলার পত্নীতলা, সাপাহার এবং রাজশাহী জেলার পশ্চিম পার্শ্বস্থ উপজেলাসমুহ ওচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সকল উপজেলার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনেরউদ্দেশ্যে  দীর্ঘ এই ব্রীজটি বাসত্মবায়নের কাজ শুরু হয়। আত্রাই নদী দ্বারাযুগ যুগ ধরে ধামইরহাট উপজেলার বিচ্ছিন্ন থাকা দুটি ইউনিয়ন (আগ্রাদ্বিগুন ওখেলনা) সহজভাবে যুক্ত হবে। ব্রীজটির পশ্চিম দিকে ৪.৫০ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিতবিশাল জনপদের মাঝে আগ্রাদ্বিগুন বাজারটি একটি গুরত্বপুর্ণ গ্রোথ সেন্টার।ব্রীজটি নির্মানের ফলে দেশের উত্তরের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধাসহ পূর্ব দিকে জয়পুরহাট জেলা ও নওগাঁজেলার ধামইরহাট উপজেলার সংগে পশ্চিম দিকে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা, সাপাহার ওরাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী হয়ে একদিকে বিভাগীয় শহর রাজশাহী মহানগরের সাথেযোগাযোগ স্থাপিত হবে; অন্যদিকে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলসহ প্রতিটিউপজেলার সাথে সহজ যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হবে। বলা বাহুল্য, দেশেরদুটি গুরম্নত্বপূর্ণ স্থলবন্দর অর্থাৎদিনাজপুর জেলার হিলি বন্দরের সাথেচাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনামসজিদ বন্দরের একটি সংÿÿপ্তও সফল যোগাযোগ স্থাপিতহবে। ফলে বর্ণিত এলাকায় বসবাসরত আপামর জণসাধারন সরাসরি উপকৃত ও সুবিধাপাবে। এলাকার কৃষিজাত পণ্য সহজে বাজারজাত করণ সহ বিভিন্ন ব্যবস্যা -বাণিজ্যের ক্ষেত্র প্রসারিত  হবে ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগসৃষ্টি হবে-এ কথা অনস্বীকার্য। এ ছাড়াও অত্র এলাকার শিক্ষা, চিকিৎসাসহ আর্থ - সামাজিক অবস্থার যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে-এ কথা নির্ধিধায় বলা যায়।